E-Passport : পাসপোর্ট কী,আবেদন পদ্ধতি, পাসপোর্ট ও ভিসার পার্থক্য।সবার আগে প্রশ্ন হলো আসলে পাসপোর্ট কি, কীভাবে পাসপোর্ট করবেন,পাসপোর্ট করতে কি কাগজপত্র লাগবে? এই পাসপোর্ট দিয়ে কি ভিসা করা যাবে, পাসপোর্ট সম্পর্কে সব প্রশ্নের উত্তর পেতে চলুন বিস্তারিতভাবে জেনে নেওয়া যাক,পাসপোর্ট হলো এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি যা বিদেশ ভ্রমণের সময় একজন ব্যক্তির পরিচয় প্রমাণ করে।
একটি E-Passport একজন ব্যক্তির জাতীয়তা প্রকাশ করে এবং তার পরিচয় প্রমাণ করে।পাসপোর্টে উক্ত ব্যক্তির ছবি,নিজের নাম,পিতা-মাতার নাম,নাগরিকত্ব, লিঙ্গ, ধর্ম,জন্ম তারিখের মতো বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য থাকে।
আপনি যদি ভাবেন যে এক দেশ থেকে অন্য দেশে ভ্রমণ করবেন, তাহলে অবশ্যই বিদেশ যাওয়ার আগে সেই ব্যক্তিকে E-Passport জন্য আবেদন করতে হয়।পাসপোর্টের সাথে অন্যান্য কাগজপত্র নেওয়া বাধ্যতামূলক। অন্য দেশের যেকোনো ব্যক্তির পরিচয়পত্র হিসেবে কাজ করে এই পাসপোর্ট । যদি সেই ব্যক্তির পাসপোর্ট এবং অন্যান্য কাগজপত্র নির্ভুল থাকে, তাহলে সেই ব্যক্তির জন্য ভিসা জারি করা হয়।
Content
ই-পাসপোর্ট কী?(What is E-Passport)
বর্তমানে এমআরপি যন্ত্রের সাহায্যে পাঠযোগ্য পাসপোর্টের মতো ই-পাসপোর্ট একই রকমের । এই যন্ত্রে পাসপোর্টের বইয়ে দুইটি পাতা থাকে সেখান সব তথ্য থাকে। কিন্তু ই-পাসপোর্টে এমন থাকবে না।
ই-পাসপোর্ট সাধারণ পাসপোর্টের মতো দেখতে। ই- পাসপোর্ট পালিমানের তৈরি একটি কার্ড ও অ্যান্টেনা থাকবে এবং সেই কার্ডের ভেতরে ইলেকট্রনিক মাইক্রোপ্রসেসর চিপ থাকবে, যেখানে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর সব তথ্য সংরক্ষিত থাকবে।
ডাটাবেজে থাকবে পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর তিন ধরণের ছবি, 10 আঙ্গুলের ছাপ ও চোখের আইরিশ ।এর ফলে বাইরের যেকোনো দেশের কর্তৃপক্ষ খুব সহজেই ভ্রমণকারীর সম্পর্কে সমস্ত তথ্য জানতে পারবেন।
গত জুলাই মাসে যখন প্রথম ই-পাসপোর্ট বিতরণ করার কর্মসূচীর তারিখ ঠিক হয়, সেইসময় পাসপোর্ট অধিদপ্তরের ই-পাসপোর্ট প্রকল্পের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুর রহমান খান বিবিসি বাংলাকে একটি কথা বলেন, ”এটি অত্যন্ত নিরাপত্তা সংবলিত একটি ব্যবস্থা। যে কারণে বিশ্বের বেশিরভাগ দেশ এখন ই-পাসপোর্ট ব্যবহার শুরু করেছে। আমরাও সেই তালিকায় যুক্ত হতে যাচ্ছি।”
ই-পাসপোর্ট নতুন করতে কত টাকা খরচ হয় (How much does E- Passport renewal cost)
- নতুন পাসপোর্ট যেটি 36 পৃষ্ঠার হয়ে থাকে, এটি 10 বছরের জন্য বৈধ 1,500/- টাকা খরচ হয়।
- নতুন পাসপোর্ট যেটি 60 পৃষ্ঠার,10 বছরের জন্য বৈধ 2,000/- টাকা খরচ হয়।
- নাবালকের জন্য অর্থাৎ যারা 13 বছরের নিচে তাদের নতুন পাসপোর্ট 5 বছরের মেয়াদ থাকে, তাদের 1000 টাকা শুধুমাত্র নগদ।
ই-পাসপোর্ট কোন কোন দেশে চালু আছে?(E-Passport is available in some countries)
বিশ্বের অনেক দেশই পাসপোর্টের বিশ্বাসযোগ্যতা বাড়ানোর জন্য ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করে। International Civil Aviation Organization (ICAO) পাসপোর্ট অর্থাৎ ই-পাসপোর্টে চিপ লাগানো বাধ্যতামূলক হয়নি।
International Civil Aviation Organization (ICAO -এর মতে, বর্তমানে বিশ্বের প্রায় 100 টিরও বেশি দেশ ই-পাসপোর্ট ইস্যু করে। বর্তমানে বিশ্বের প্রায় 45 কোটিরও বেশি মানুষের কাছে ই-পাসপোর্ট রয়েছে।
বিশ্বের কোন দেশ প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু করেছে (Which country in the world has introduced the first E-Passport?)
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা 2020 সালের জানুয়ারী মাসের 22 তারিখ বুধবার, রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে একটি সম্মেলনে ই-পাসপোর্ট বিতরণের জন্য উদ্বোধন করেছিলেন। দক্ষিণ এশিয়ায় মধ্যে বাংলাদেশেই প্রথম ই-পাসপোর্ট চালু হয়েছে। অন্যদিকে, এই পাসপোর্ট চালু করার ক্ষেত্রে বিশ্বে 119 তম দেশ।
ভারতের কত ধরনের ই-পাসপোর্ট দিয়ে কোন কোন দেশে যাওয়া যায় (How many types of Indian E-Passports can go to any country)
- সাধারণ পাসপোর্ট – যারা শুধুমাত্র বিদেশ ভ্রমণ করার জন্য পাসপোর্ট তৈরি করে, তাদের এই সাধারণ পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
- অফিসিয়াল পাসপোর্ট – যে সব ব্যক্তি অন্য দেশে সরকারি চাকরির কর্মরত, তাদের এই অফিসিয়াল পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
- অস্থায়ী পাসপোর্ট – যদি আপনি বিদেশ সফরে যান তাহলে এই পাসপোর্ট দেওয়া হবে।এই পাসপোর্টের সময়সীমা খুব কম।
- কূটনৈতিক পাসপোর্ট – যেসব ব্যক্তি অন্য দেশে দূতাবাস হিসেবে কাজ করেন, তাদের এই পাসপোর্ট দেওয়া হয়।
ই-পাসপোর্টের জন্য কীভাবে আবেদন করবেন? (How to Apply for E-Passport)
ভারতে ই-পাসপোর্টের জন্য আবেদন করার যে পদ্ধতিটি আছে ,তা নিচে আলোচনা করা হলো-
- প্রথমে পাসপোর্ট সেবা অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে যান।
- তারপরে “Registered Now” -এ ক্লিক করুন।কিংবা আপনার বিদ্যমান আইডি দিয়ে Login করুন।
- এখন আপনি “Apply for fresh passport” বা “Re-Issue of Passport“-এ ক্লিক করুন।
- এরপরে সমস্ত তথ্য বিবরণ প্রদান করুন। তারপর “Submit ” অপশনে ক্লিক করুন।
- আবেদনের ফি প্রদান করার জন্য “Pay and schedule appointments“-এ ক্লিক করুন।
এই পদ্ধতিটি সম্পূর্ণ করার পরে, রসিদটি প্রিন্ট বের করুন অথবা Acknowledgment SMS to PSK/POPSK/PO টি দেখান।
ভারতে নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র (Documents required for new passport in India)
ভারতে একটি নতুন ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র গুলি নিয়মিত পাসপোর্টের মতোই।আবেদনকারী প্রথম ই-পাসপোর্ট করার জন্য নিম্নলিখিত নথিগুলির প্রয়োজন হয় –
ঠিকানার প্রমাণ এর জন্য –
নিচের এই নথিগুলির মধ্যে যে-কোন একটি ঠিকানার প্রমাণ হিসাবে দিতে হবে –
- আধার কার্ড।
- প্যান কার্ড।
- টেলিফোন বিল।
- জলের বিল।
- বিদ্যুৎ বিল।
- ভাড়া সংক্রান্ত চুক্তি।
- গ্যাস কানেকশনের প্রমাণপত্র।
- ফোটো সহ একটি বৈধ ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক।
- স্বামী/স্ত্রী হিসাবে উক্ত আবেদনকারীর নাম সহ স্বামী বা স্ত্রীর পাসপোর্টের ফটোকপি প্রথম এবং শেষ পৃষ্ঠা দিতে হবে।
- এটি উল্লেখ্য যে আবেদনকারী ব্যক্তিরা গত বছর থেকে যে সব জায়গায় বাস করেছেন তার সঠিক তথ্য বিবরণ দিতে হবে.
জন্ম তারিখের প্রমাণ এর জন্য –
আপনি অবশই নিম্নলিখিত নথিগুলির মধ্যে যে-কোনও একটি নথি জন্ম তারিখের প্রমাণ হিসাবে জমা করতে পারেন –
- সক্রিয় কর্তৃপক্ষ থেকে জন্ম সার্টিফিকেট।
- কর্তৃপক্ষ ও শিক্ষা বোর্ড দ্বারা ইস্যু করা ম্যাট্রিকুলেশন, ট্রান্সফার, বা একটি স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট। যে সার্টিফিকেট এ স্কুলে যাওয়ার শেষ তারিখ উল্লিখিত করে রয়েছে।
- প্যান কার্ড।
- ড্রাইভিং লাইসেন্স।
- আবেদনকারীর নামে লাইফ ইন্স্যুরেন্স বা জীবন বীমা পলিসি।
- আধার কার্ড।
- ভোটার আইডি কার্ড।
নাবালকদের ই-পাসপোর্ট করতে প্রয়োজনীয় কাগজ(Papers required for new passports for minors)
পরিচয়ের প্রমাণ হিসেবে –
- আবেদনকারীর আধার কার্ড,
- পিতা বা মাতার পাসপোর্টের প্রতিলিপি,
ঠিকানার প্রমাণ হিসেবে –
- আবেদনকারীর সক্রিয় ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুক,
- বিদ্যুতের বিল,
- ইউটিলিটি বিল,
- ভাড়ার চুক্তি
- ল্যান্ডলাইনের বিল,
- টেলিফোন বিল
- আধার কার্ড
- গ্যাস সংযোগের প্রমাণ
- এছাড়াও পিতা বা মাতার বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ।
বয়সের প্রমাণ–
- জন্ম শংসাপত্র
- আবেদনকারীর পৌরসভার দ্বারা ইস্যু করা বার্থ সার্টিফিকেট,
- আধার কার্ড
- স্কুল ছাড়ার সার্টিফিকেট,
- মাধ্যমিক বা উচ্চমাধ্যমিক এর মার্কশীট যেকোন একটি দিতে হবে।
- জীবন বীমা পলিসি বন্ড
- প্যান কার্ড
- শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল লেটারহেডে আবেদনকারীর DOB-এর প্রত্যয়নকারী অরফানেজ অথবা চাইল্ড কেয়ার হোমের প্রধান কর্তৃক প্রণীত একটি ঘোষণা।
প্রাপ্তবয়স্ক ই-পাসপোর্টের জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র(Documents required for adult new passport)
ঠিকানা প্রমাণ হিসেবে –
- পানির বিল
- বিদ্যুৎ বিল
- ভাড়া চুক্তি
- গ্যাস সংযোগের প্রমাণপত্র
- টেলিফোন বিল
- স্বনামধন্য কোম্পানির নিয়োগকর্তার সার্টিফিকেট লেটার হেডে।
- আধার কার্ড
- নির্বাচন কমিশনের আইডি কার্ড ফটো
- স্বামী/স্ত্রীর পাসপোর্টের কপি
- ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের পাসবুকের ছবি
জন্ম তারিখ প্রমাণ হিসেবে –
- জন্ম তারিখ শংসাপত্র
- জীবন বীমা পলিসি বন্ড
- আধার কার্ড
- প্যান কার্ড
- স্থানান্তর অথবা স্কুল ছেড়ে যাওয়া কিংবা ম্যাট্রিকুলেশন সার্টিফিকেট স্কুল থেকে স্বীকৃত শিক্ষা বোর্ড থেকে দেওয়া।
- আবেদনকারীর ভোটার আইডি কার্ড
- প্রতিষ্ঠানের অফিসিয়াল লেটারহেডে অনাথ আশ্রম অথবা শিশু পরিচর্যা হোমের প্রধান কর্তৃক একটি ঘোষণাপত্র যা আবেদনকারীর DOB-কে প্রত্যয়িত করবে।
কোন কোন কারণে পুনরায় পাসপোর্ট ইস্যু করতে পারবেন(Can reissue passport for any reason)
একজন আবেদনকারী যেসব কারনের জন্য পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার অনুরোধ জানাতে পারবেন,তা নিচে উল্লেখ করা হলো-
- মেয়াদ বৃদ্ধির কারণে
- পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার জন্য
- পাতার ক্লান্তি
- ঠিকানা পরিবর্তন
- সংক্ষিপ্ত মেয়াদের পাসপোর্ট নবায়ন করার জন্য (SVP)
- ক্ষতিগ্রস্থ পাসপোর্ট
- ছবির পরিবর্তনের জন্য
- নামের পরিবর্তন
পুনরায় পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিপত্র(Documents required for re-issuance of passport)
পুনরায় পাসপোর্ট ইস্যু করার জন্য নির্দিষ্ট ক্ষেত্রে কিছু নথিপত্র প্রয়োজন হয়। সেগুলি হল –
মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য নথিপত্র –
আপনাকে পাসপোর্টের মেয়াদ বৃদ্ধির জন্য আবেদনপত্র পূরণ করতে হবে. পাসপোর্টের মেয়াদ তিন বছরের বেশি হলে আবার নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন শুরু করা হয়. নতুন করে পুলিশ ভেরিফিকেশন প্রয়োজন হবে।
পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়া বা চুরি হওয়ার জন্য নথিপত্র –
- পুলিশ রিপোর্ট
- বর্তমান ঠিকানা প্রমাণ
- জন্মতারিখের প্রমাণ,
- বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ,
- পাসপোর্ট হারিয়ে যাওয়া জন্য পুলিশ রিপোর্ট,
- অ্যানেক্সার F অনুযায়ী, পাসপোর্টটি কীভাবে কোথায় আছে তা উল্লেখ করে হলফনামা।
- পুরানো পাসপোর্টের ইসিআর/নন-ইসিআর পৃষ্ঠা সহ প্রথম দুই এবং শেষ দুই পৃষ্ঠার স্ব-প্রত্যয়িত ফটোকপি দিতে হবে।
ক্ষতিগ্রস্থ পাসপোর্টের জন্য নথিপত্র –
- অ্যানেক্সার F অনুসারে, পাসপোর্টটি কীভাবে হারিয়ে গেছে/কোথায় হারিয়ে গেছে/কি ক্ষতি হয়েছে তা উল্লেখ করে হলফনামা।
- আবেদনকারীর জন্ম তারিখের প্রমাণ।
- আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ।
- পাসপোর্ট হারানোর জন্য পুলিশ মূল রিপোর্ট।
- পুরানো পাসপোর্টের ইসিআর/নন-ইসিআর পাতা সহ প্রথম দুটি ও শেষ দুটি পাতার স্ব-প্রত্যয়িত ফটোকপি।
ছবির পরিবর্তনের জন্য নথিপত্র –
- আবেদনকারীর বর্তমান চেহারায় তার সাম্প্রতিক ছবি।
নামের পরিবর্তনে্র জন্য নথিপত্র –
- নতুন নামের পরিচয়ের প্রমাণ ও নাম পরিবর্তনের সার্টিফিকেট ।নামের পরিবর্তন কথা উল্লেখ করে গেজেটে আসা বিজ্ঞপ্তি।
জন্মতারিখ পরিবর্তন করতে –
- নতুন জন্মতারিখের প্রমাণপত্র।
ঠিকানায় পরিবর্তন করার জন্য –
- আবেদনকারীর বর্তমান ঠিকানার প্রমাণ।
পাসপোর্টের নির্দিষ্ট কোন বিভাগে পুনরায় ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র জমা দিতে হবে, পাসপোর্ট এর ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা আছে। উপরিউক্ত কারন ছাড়াও অন্য কোন কারণের জন্য আবেদনকারীদের এই ওয়েবসাইটে গিয়ে ভালো করে জন্য দেখে নেওয়া উচিত।
নিয়মিত পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি (Documents required for re-issuance of regular passport)
নিয়মিত পাসপোর্ট পুনরায় ইস্যু করার জন্য প্রয়োজনীয় নথিগুলি
- আপনার আসল পাসপোর্ট।
- আপনার পাসপোর্টের প্রথম ও শেষ পৃষ্ঠার ফটোকপি।
- পর্যবেক্ষণ পৃষ্ঠা।
- ইসিআর অথবা নন-ইসিআর পাতা।
বিবাহ বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের পর পাসপোর্টের নাম পরিবর্তনের পদ্ধতি (Procedure for changing passport name after separation or divorce)
একজন বিবাহিত মহিলার বিদ্যমান পাসপোর্টে নাম পরিবর্তনের জন্য, নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলি জমা দিন-
- স্বামীর পাসপোর্টের ফটোকপি
- বিবাহের শংসাপত্রের একটি স্ব-প্রত্যয়িত অনুলিপি
- একটি যৌথ ছবি সহ স্বামী এবং স্ত্রী উভয়ের একটি হলফনামা জমা করুন৷
একজন বিবাহিত পুরুষের বিদ্যমান পাসপোর্ট থেকে স্ত্রীর নাম মুছে ফেলার জন্য, নিম্নলিখিত নথিপত্রগুলি জমা দিতে হবে–
- বিবাহবিচ্ছেদ চুক্তি একটি স্ব-প্রত্যয়িত অনুলিপি বাআদালত কর্তৃক প্রত্যয়িত বিবাহবিচ্ছেদ ডিক্রির অনুলিপি।
- বিবাহবিচ্ছেদের বিষয়ে বিস্তারিত হলফনামা দিন
ই-পাসপোর্ট এর কি সুবিধা আছে? (What are the benefits of E-Passport)
ভারতে ই-পাসপোর্টের বেশ কিছু সুবিধা আছে , তা নিচে আলোচনা করা হলো –
- ই-পাসপোর্ট ব্যাবহারকারী যাত্রীদের লাইনে দাঁড়িয়ে দীর্ঘ সময় নষ্ট করতে হয় না কারণ এটি কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে স্ক্যান করা যায়।
- ই-পাসপোর্ট এর মধ্যে একজন ব্যক্তির বায়োমেট্রিক রেকর্ড থাকে। সুতরাং, এটি প্রতারকদের তথ্য অস্পষ্ট করে এবং নকল পাসপোর্ট তৈরি থেকে আটকাবে।
- এটি বিকৃত করলে, চিপ পাসপোর্ট অথেন্টিকেশন বা প্রমাণীকরণ ব্যর্থ হয়ে যাবে।
- ই-পাসপোর্ট থেকে কেউ তথ্য মুছে ফেলতে পারে না।
ই-পাসপোর্টের বৈশিষ্ট্য (Features of e-Passport)
ই-পাসপোর্টের নিরাপত্তামূলক 41টি বৈশিষ্ট্য রয়েছে।তার মধ্যে কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল –
- ল্যামিনেটেড ফিল্মে এমবস-করা একটি হলোগ্রাফিক ছবি থাকে যা রঙ পরিবর্তন করে।যেটি আলোর নীচে সরানো যায়।
- ব্যবহারকারীর পাসপোর্ট সংক্রান্ত তথ্য।
- পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর বায়োমেট্রিক তথ্য।
- পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর হাতের 10টি আঙুলের সম্পূর্ণ ছাপ।
- পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর আইরিস স্ক্যান।
- পাসপোর্ট ব্যবহারকারীর রঙিন ছবি।
পাসপোর্ট এবং ভিসার মধ্যে পার্থক্য কী (What is the difference between passport and visa)
আমারা সবাই ঘুরতে ভালোবাসি। আর যদি সেটা বাইরের দেশে হয় আরও ভালো হয়, কিন্তু এখন প্রশ্ন হলো বাইরের দেশে ঘুরতে যাওয়ার জন্য পাসপোর্ট ও ভিসার প্রয়োজন হয়। এই পাসপোর্ট ও ভিসা কী? অনেকেই ভাবেন এই দুটি একই জিনিস
পাসপোর্ট ও ভিসা একে অপরের সাথে সংযুক্ত।ভিসা এবং পাসপোর্ট কি ? তাদের মধ্যে পার্থক্য কী ? চলুন তাহলে জেনে নেওয়া যাক এই প্রতিবেদনে –
- পাসপোর্ট একটি সরকারী ভ্রমণ নথি, যেটি সরকার দেশের নাগরিকদের কাছে আবেদনের মাধ্যমে জারি করে, বহনকারীর পরিচয়পত্র এবং জাতীয়তার প্রমাণ জন্য আন্তর্জাতিকভাবে ভ্রমণকারীদের পরিচয় করিয়ে দেয়।
- ভিসা হলো দেশের প্রতিনিধিদের দ্বারা বিদেশী নাগরিককে দেওয়া নথি ,যা শর্তসাপেক্ষ অনুমোদন প্রকাশ করে এবং বহনকারীকে নির্দিষ্ট সময়ে দেশে বেড়াতে এবং থাকার অনুমতি দিয়ে থাকে।
- পাসপোর্ট বহনকারী ব্যক্তির ব্যক্তিগত পরিচয় হিসাবে কাজ করে এই নথি ।আর ভিসা দেশের অভ্যন্তরে ভ্রমণ করার জন্য একটি সরকারী অনুমতি হিসাবে কাজ করে।
- পাসপোর্ট আইনী দলিলের আকারে হতে পারে, কিন্তু ভিসা পাসপোর্টে স্ট্যাম্পের মতো সংযুক্ত থাকে।
- পাসপোর্ট হ’ল একটি গুরুত্বপূর্ণ নথি, কোন ব্যক্তি বিদেশে ভ্রমণ করার সময় সনাক্ত করার জন্য প্রয়োজন হয়ে থাকে।
ই-পাসপোর্ট চিপ বেসড কীভাবে কাজ করে?(How e-passport chip based works)
একটি ই-পাসপোর্ট 64-কিলোবাইট স্টোরেজের এমবেড-করা আয়তক্ষেত্রাকার অ্যান্টেনা ইলেকট্রনিক চিপের ক্ষমতার উপর ভিত্তি করে কাজ করে।
ই-পাসপোর্ট কী তা জানার সাথে সাথে ভারতীয়দের এই নতুন উদ্ভাবের নির্মাতাদের সম্পর্কেও অবশ্যই জানতে হবে।ভারতের তিনটি প্রধান প্রযুক্তিমূলক প্রতিষ্ঠানের সংযোগে তৈরি করা হয়েছে –
- Indian Institute of Technology-Kanpur.
- National Informatics Center (NIC).
- ndia Security Press এবং বিদেশ মন্ত্রকের কর্মকর্তারা।
এর ডিজাইন এমনভাবে করা হয়েছে যাতে কোনও দূরবর্তী উৎস থেকে তার তথ্যে অ্যাক্সেস করা সম্ভব হয়।
আপনি কোথায় ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন?(Where can you use e-passport)
বর্তমান সময়ে বিশ্বের প্রায় 120 টি দেশে ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। একজন ব্যক্তি আন্তর্জাতিক ভ্রমণের উদ্দেশ্যে অথবা নথির প্রমাণ হিসাবে,এই ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করতে পারেন।
এখন আপনি ই-পাসপোর্ট কী তা অবশই জানেন, তাহলে আপনি এটাও বুঝতে পেরেছেন যে এই ই-পাসপোর্ট সরকার এবং নাগরিক উভয়ের জন্য কতটা গুরুত্বপূর্ণ। এই ইলেকট্রনিক চিপ-এমবেড করা নথি আপনার নিরাপত্তা বাড়াবে এবং ভ্রমণের সময় পাসপোর্ট যাচাইকরণের পদ্ধতিকে সুবিধা করবে।
জরুরী পাসপোর্ট করতে কত দিন সময় লাগে ?
জরুরী পাসপোর্ট করতে পুলিশ রিপোর্টএর উপর ভিত্তি করে 10-12 দিনে সময় লাগে।
ভারতে কি ই-পাসপোর্ট পাওয়া যায় ?
হ্যা , 2021 সাল থেকে ভারতে ই-পাসপোর্ট পাওয়া যায়।
ই-পাসপোর্ট কোথায় ব্যবহার করা যেতে পারে?
বিদেশ ভ্রমণের জন্য আপনার একটি নিয়মিত পরিচয় সনাক্তকরণের জন্য ই-পাসপোর্ট ব্যবহার করা যায়।
আরো পড়ুন – PM Kisan 2024 প্রধানমন্ত্রী কিষাণ সম্মান নিধি কবে টাকা ঢুকবে,স্ট্যাটাস চেক।
Sitaram Jindal Scholarship 2024: সীতারাম জিন্দাল স্কলারশিপ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পাশে আবেদন করুন।